
দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের চালের দাম। প্রতি কেজি চাল প্রকারভেদে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম কমাতে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। সরকারের ও এমএস’র চাল খোলা বাজারে বিক্রির কারণেই কমেছে চালের দাম, বলছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় এলসি রত্না চাল প্রতি কেজি ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, দেশি স্বর্ণা চাল ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা, এলসি করা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা, সম্পা-কাটারি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা চাল ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মর্জিনা বেগম নামে এক মহিলা বলেন, সরকার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে। সেই জন্য চাল নিতে এসেছি। এতে আমার অনেক সুবিধা হয়েছে। কারণ, হিলি বাজারে ৪০ টাকার ওপরে প্রতি কেজি চাল। গরিব মানুষ, স্বামী নেই, কষ্টে সংসার চালাতে হয়।
চাল কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা গরিব মানুষ। রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করে থাকি। শীতের কারণে রিকশাতে তেমন যাত্রী উঠছে না। ইনকামও তেমন হচ্ছে না। চালের দাম কিছুটা কমাতে আমাদের মতো গরিব অসহায়দের সুবিধা হয়েছে। তবে ৩০ টাকার মধ্যে প্রতি কেজি চালের দাম হলে আমার মতো গরিবদের অনেক সুবিধা হতো।
চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, সরকারিভাবে চাল দেওয়ার কারণে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলির চালের পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। কেজি প্রতি প্রকারভেদে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। পূর্বের থেকে চাল বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসছে। বাজারে ক্রেতা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা অল্প লাভে চাল বিক্রি করছেন। আগে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ বস্তা চাল বিক্রি করতাম এখন তা ১০ থেকে ২০ বস্তায় নেমে এসেছে।