
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১২শ মিটার সড়ক সংস্কার কাজ দফায় দফায় বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় চাঁদাবাজরা। এসময় যুবলীগ নামধারী এসব চাঁদাবাজ ঠিকাদারের লোকদের দফায় দফায় কাজে বাধা দেয়ার পাশাপাশি চাঁদার দাবীতে বেশ কয়েকবার শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত ও কাজারে মালামালও নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা বশর শিকদার জানান, তাদের কাজটির বাজেট ১ কোটি ৩লাখ টাকা। ১৩ জানুয়ারি তারা কাজ শুরু করলে দফায় দফায় চাঁদার দাবীতে স্থানীয় চাঁদাবাজরা তাদের কাজ বন্ধ করে দেয় ও শ্রমিকদের মারধর করে। এঘটনা কোম্পানির তরফ থেকে ১৭ জনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলার কারনে সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বলেও তিনি জানান।

হুমকি ও হামলার ঘটনায় মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশনের অংশিদার নুরল ইসলাম বাদি হয়ে গত সোমবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি আসামী হিসেবে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদ, ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল জলিল আদর,মো: আতিকুর রহমান,মামুন,ফারুক সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করেছেন।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার পর আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে লেবার ও সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে প্রাননাশের হুমকি,সংস্কার কাজে ব্যবহৃত রোলার,স্কেভেটরসহ যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়িয়ে দিবে বলে ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমকি ধমকি দেয়।
গত ৩১জানুয়ারী সোমবার সকালে আইয়ুব নবী ফরহাদ,আব্দুল জলিল আদর,আতিকুর রহমান,মামুন,ফারুকের নির্দেশে অজ্ঞাত ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এস্কেভেটর ড্রাইভার লেবার ও সাইট কেয়ারটেকার মাইন উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন এবং স্কেভেটর চাবি তার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি নিয়ে যায়। এর আগে তারা একই কায়দায় একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে ফরহাদ, আদর,মামুন বলেন,আমাদেরকে হেয় করার জন্য মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ করা হয়েছে। কাজ বন্ধ করে দেওয়া ও হুমকি ধামকির সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।আমরা কারো কাছে চাঁদা দাবী করিনি।কাজ বন্ধ করার সাথে আমাদের কোন যোগসুত্র নেই।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল মোল্লা জানান, প্রাথমিক সত্যতা পাওয়াতে বাদির অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।