
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় কর্ণফুলী নদীর ডায়মন্ড ঘাট এলাকায় লাইটার জাহাজ এমভি টিটু-৭ থেকে স্ক্যাপ চুরির সময় জাহাজের মাস্টারসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ নৌ-পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি বুজতে পেরে ৩ জন পালিয়ে যায়। নৌ পুলিশ এসময় তাদের কাছ থেকে ১২৫০ কেজি আমদানিকৃত স্ক্যাপ, ওয়ার সিল কাটার যন্ত্রসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ক্র্যাপের মালগুলো রাখা ছিল লাইটারেজ জাহাজ এমভি টিটু-৭ এর হেজের (ডেকের নিচে সুবিশাল ফাঁকা জায়গা) মধ্যে। জাহাজের মাস্টার আমদানিকৃত এই স্ক্র্যাপগুলো বাহিরে বিক্রি করার জন্য একজনের সাথে চুক্তি করে।
তাই মাস্টার অন্য সদস্যদের নিয়ে হেজের মুখ কেটে স্ক্র্যাপগুলো বাহির করেন। গতকাল দিবাগত রাত ১টায় খবর পেলে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই জাহাজ থেকে মাস্টারসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করি। তবে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন পালিয়ে গেছে।
পরে আমদানিকৃত ১২৫০ কেজী স্ক্যাপ, ওয়ার সীল কাটার যন্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ৯জনসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
গ্রেপ্তাররা হলো- জাহাজের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন (৪০), ড্রাইভার মো. মোক্তার হোসেন (৩৭), সুকানী মো. নাজমুল হাসান (২৪), মো. রাজিব খলিফা (২৫), গ্রিজার মো. করিম উদ্দিন (২২), লস্কর আব্দুর রহিম (৩০), মো. জাহিদ (২১), মো. কালাম (৩৮), আব্দুল (২৪)। পলাতরা হলো- মো. ইদ্রিস (৩৫), সাজ্জাদ (২৩) ও মো. আবু তাহের ওরফে আকাশ (২৪)।